সম্প্রতি জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমায় কাজ করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। ঢাকায় পা রেখেই কক্সবাজারে মনিরুল ইসলামের প্রথম প্রযোজিত এ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সিনেমার নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে শুটিং পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই হঠাৎ কলকাতায় ফিরে গেছেন নায়িকা।
নানা মাধ্যমে চর্চা হচ্ছে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ’ করার জন্য শুটিং বন্ধ রেখে কলকাতায় চলে গেছেন সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সিনেমার কোরিওগ্রাফারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সিনেমাটির পরিচালক, প্রযোজক, কোরিওগ্রাফার কথা বললেও এবার প্রথম মুখ খুললেন নায়িকা সায়ন্তিকা। জানালেন নতুন তথ্য।
মনিরুল ইসলাম প্রযোজিত ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল গানের শুটিং দিয়ে। গত ৩০ আগস্ট ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। তারপর ঢাকা থেকে জায়েদ খানের সঙ্গে কক্সবাজারে যান। সেখানেই শুটিং শুরু হয় গানের। কয়েক দিন শুটিংয় করে অভিনেত্রী কলকাতায় চলে যাওয়ার পর সোশ্যালেসহ নানা মাধ্যমে বিভিন্ন খবর রটতে থাকে। কিন্তু আসলেই কি হেনস্তার শিকার হয়েছেন সায়ন্তিকা?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সায়ন্তিকা জানিয়েছেন কোরিওগ্রাফার মাইকেলের নাম উঠেছে, কিন্তু সমস্যা মূলত অন্য জায়গায়। বলা যেতে পারে নায়িকাকে হয়রানি হতে হয়েছে প্রযোজকের অব্যবস্থার জন্য। এ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, প্রথমে মাস্টার এসেছিলেন নাচের দৃশ্য শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু আর্থিক সমস্যার জন্য চলে যান তিনি। তারপর মাইকেল নামে বাচ্চা ছেলেটি আসে।
এরপরই এ নায়িকা শুটিং বন্ধ রেখে চলে যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন। জানান, তিনি একজন পেশাদার শিল্পী। তাই এ রকম করার কথা ভাবতেই পারেন না। সায়ন্তিকা বলেন, মাইকেল আমার কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে আমার হাত ধরে আমাকে সরাতে এসেছিল। তখন সবার সামনেই আমি বাধা দেই। মূল সমস্যা হচ্ছে সিনেমার প্রযোজক।
সায়ন্তিকার ভাষ্যমতে— বারবার প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। প্রযোজকের কোনো পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা নেই।
টালিউডের এই নায়িকা বলেন, কক্সবাজারে গিয়ে দু’দিন অপেক্ষা করেছি। প্রযোজকের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎ বলা হয় নাচের দৃশ্যের শুটিং করা হবে। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পরও মনিরুল যখন উত্তর দেয়নি, তখন বলেছিলাম মাইকেলের সঙ্গে এভাবে কাজ করব না আমি। আর এতকিছুর পরও প্রযোজক জানিয়েছিলেন মাইকেলকে নিয়েই কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশে এটাই প্রথম কাজ সায়ন্তিকার। কিন্তু প্রথম কাজই খুব তিক্ততার। তারপরও কাজ শেষ করবেন। এ ব্যাপারে বলেন, যদি সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করেন তাহলে আমি অবশ্যই সিনেমার কাজটি শেষ করব। তার আগে আমাকে চিত্রনাট্য, শটসহ নানা বিষয় ভালো করে জানাতে হবে।