জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশে এখন আর দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে। প্রতিদিন আগুন লাগছে, সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে মানুষের জীবন যাচ্ছে। দেশে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষের জীবন যাচ্ছে দুর্ঘটনায়। দুর্ঘটনা রোধের কোন বন্দোবস্ত নেই। দেশের শাসন ব্যবস্থায় গলদের কারণেই দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। এ কারণেই কেউই সঠিকভাবে কাজ করছে না। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে শুধুই আল্লাহর ওপর ভরসা করে থাকতে হয়। দুর্ঘটনা রোধে সরকারের যেনো কোন দায়িত্ব নেই। দুর্ঘটনা রোধে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ।
আজ বেলা ১২টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
এসময় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, আড়াইশোর ওপরে দোকান-পাট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুুঁজি হারিয়ে অনেক দোকান মালিক নিঃস্ব হয়ে গেছে। কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এরই মধ্যে সব কিছু পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। দুর্ঘটনা যেনো না ঘটে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনা ঘটলে যেনো অতিদ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন ব্যবস্থাও নেই। অগ্নি নির্বাপণে পানির ব্যবস্থাও নেই। মানুষের বাসার ট্যাঙ্ক থেকে পানি নিতে হচ্ছে। এমন অপরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে উঠতে পারে না।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, সরকারের দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা। তাৎক্ষণিকভাবে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তর এর সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাতীয় পার্টি মোহাস্মদপুর থানার সভাপতি রফিকুল আলম সেলিম, আদাবর থানার সভাপতি নজরুল ইসলাম মুকুল, জাতীয় পার্টি নেতা এসএম হাশেম, আকবর হোসেন, মাসুদ খান, বিএম নাসির, চিশতী খায়রুল আবরার শিশির, আবদুর রবসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।