ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খোরশেদ।
এই প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে রানার্স-আপ হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. হাছিবুল বাশার এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী হোসেন এয়াছিন আরাফাত।
রোববার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ খেলার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। খেলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ জাতীয় মানের দক্ষ খেলোয়াড় তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় খেলোয়াড় কোটার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, খেলাধুলায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বিনয়ী ও সহনশীল আচরণ বজায় রেখে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নিয়মিত খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মনকে প্রফুল্ল রাখে। পরিপূর্ণ মানুষ ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পড়াশুনার পাশাপাশি নিয়মিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলী, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক এ. বি. এম. নাজমুস সাকিবসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১৯টি ইভেন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও অংশ নেয়।
ডব্লিউজি/এমআর