ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উর্দু বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাজেদা আক্তার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ও রানার্স-আপ হয়েছেন ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ-এর স্নাতক (সম্মান) ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইফরিত ফাইজা ইমি।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফেলার মাঠে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, একটি সমাজ ও সংস্কৃতির তখনই বিকশিত হয় যখন সকল ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকে।
সমাজ উন্নয়নে মহিয়সী নারীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পর্দার আড়ালে থেকে সমাজ-সংস্কৃতির উন্নয়নসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল সংগ্রাম ও আন্দোলনে বিশেষ করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নানাভাবে সহযোগিতা করে অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে আজ নারী জাগরণ ও উন্নয়নের অসাধারন সূচক অর্জিত হয়েছে। সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে খেলোয়াড়সুলভ দৃষ্টিভঙ্গী ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খেলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করতে হবে। মেধার বিকাশ ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনায় নারী-পুরুষের সমভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে সুস্থ-সবল মানবসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাথলেটিকস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলীসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোকেয়া হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ২২টি ইভেন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও অংশ নেয়।
ডব্লিউজি/এআর/আরিফ