তারেক-জোবাইদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আদেশে সাদা দলের উদ্বেগ

দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (ক্রোক) করার আদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। রোববার (৮ জানুয়ারি) ঢাবি সাদা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করা হয়েছিল, তার সূত্র ধরে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার এই পরিবারকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করার অপকৌশলে মেতে উঠেছে। তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ এরই অংশ বলে আমরা মনে করি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারেক রহমানের দিক-নির্দেশনায় বিএনপির নেতৃত্বে দেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যখন সোচ্চার, তখন গণ আন্দোলনকে নস্যাৎ এবং বিএনপির নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মনোবল ভাঙতেই সরকারের ইঙ্গিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। আমরা সরকারের হীন এই কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস মিথ্যা মামলা ও রায় দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত ও হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে না।

এতে আরো বলা হয়, তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলনকেও নস্যাৎ করা যাবে না। কাজেই অবিলম্বে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, ফরমায়েশি আদেশ ও সম্পত্তি ক্রোকের রায় বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের নিমিত্তে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অপকৌশল থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান। সেই সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You