১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা। শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিলো। এ পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে সর্বশেষ প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর থেকে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা আর হয়নি। করোনার কারণে গত ২বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব হয়নি। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বাস্তবায়ন শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সব উপজেলা বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় সাধারণ খাতায় নয়, বুকলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুকলেটে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ ৪ বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয় থেকে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন এসেছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা পরীক্ষা তদারকি করেছেন।
পরীক্ষা কেমন হলো জানতে চাইলে শুক্রবার বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গনমাধ্যমকে জানায়, ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিলো। সারাদেশে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিলো ৯৫ শতাংশের বেশি। পরীক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশে হয়েছে। আমরা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাইনি।
পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা আছে। কর্মপরিকল্পনা অনুসারে ফেব্রুয়ারিতে ফল প্রকাশে কথা আছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় উত্তরপত্র পাঠানো হবে আগামীকাল শনিবার। উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও নিরীক্ষা হবে ২ জানুয়ারি। ৩ থেকে ৬ জানুয়ারি নম্বর কম্পিউটারে এন্ট্রি করতে হবে। ৭ থেকে ৮ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা নম্বর যাচাই করবেন। ১০ জানুয়ারির মধ্যে ফল সিডিতে করে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
সূত্রঃ দৈনিক শিক্ষাডটকম
ডব্লিউজি /এমআর