আগামীকাল শুক্রবার প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ তেরো বছর পর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চার বিষয়ে দুই ঘণ্টা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট আগে উত্তরপত্রের বুকলেট পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
প্রতি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরে হবে বৃত্তি পরীক্ষা। পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। প্রচলিত খাতায় নয়, প্রশ্নপত্র সম্বলিত বুকলেটে এ পরীক্ষা নেয়া হবে। বুকলেটের নির্ধারিত জায়গায় টিক চিহ্ন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে লিখে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ পরীক্ষার জন্য পৃথকভাবে উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে না।
বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার ও গতকাল বুধবার ব্যস্ত সময় পার করেছেন মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা। কেন্দ্রে-কেন্দ্রে পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এবার সারাদেশ থেকে বৃত্তি পাবে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার এবং সাধারণ গ্রেডে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ের প্রতিটির জন্য ২৫ নম্বর করে সর্বমোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতি বিষয়ে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে যার প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর। প্রতি প্রশ্নের চারটি অপশনের মধ্যে সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিতে হবে। সঠিক উত্তর নির্বাচনে একাধিক অপশনে টিক চিহ্ন দেয়া যাবে না। একাধিক অপশনে টিক চিহ্ন দেয়া হলে ওই প্রশ্নের উত্তরের জন্য নির্ধারিত নম্বর দেয়া হবে না।
বাংলা বিষয়ে দুইটি অনুচ্ছেদ দেয়া থাকবে। দুইটি অনুচ্ছেদ থেকে ৪টি করে ৮টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে এবং অপর ৭টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সমগ্র পাঠ্যপুস্তক থেকে থাকবে। একটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে যার নম্বর হবে ১০। গণিত বিষয়ে সমগ্র পাঠ্যপুস্তক থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। দুটি সমস্যা সমাধানমূলক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটির মান ৫ নম্বর করে মোট ১০ নম্বর। ইংরেজি বিষয়ে সমগ্র পাঠ্যপুস্তক থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। একটি বিষয়ে অনুচ্ছেদ লিখতে হবে। যার মান ১০ নম্বর। প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে সমগ্র পাঠ্যপুস্তক হতে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। দুটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটির মান ৫ নম্বর করে মোট ১০ নম্বর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, দ্রুততম সময়ে বুকলেট মূল্যায়ন করতে হবে তাই ১০০টি বুকলেট একজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। একজন পরীক্ষক প্রতিটি বুকলেটের চারটি বিষয়ই মূল্যায়ন করবেন। জেলা কমিটির নির্ধারিত স্থানে বুকলেট মূল্যায়ন করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো মার্কিং স্কিম ও নির্দেশনা অনুসারে বুকলেট মূল্যায়ন করাতে হবে।
সূত্রঃ দৈনিক শিক্ষা ডটকম