ভুল চিকিৎসায় পা হারাতে বসেছেন হতদরিদ্র শহিদুল

নোয়াখালী নিরাময় হসপিটালের অর্থোপেডিক্স ডা. মো. মাসুম বিল্লাহ কর্তৃক ভুল চিকিৎসার (অস্ত্রপ্রচার) স্বীকার হয়ে পা হারাতে বসেছে বলে অভিযোগ করেন হতদরিদ্র শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। নোয়াখালীজেলা সিভিল সার্জন বরাবর এই অভিযোগ করেন তিনি । ভুক্তভোগী অভিযোগ দেওয়ার পর নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় এক মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন শহিদুল। আহত হওয়ার পর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় লোক মারফতে জানতে পারেন নিরাময় হসপিটালে একজন অর্থোপেডিক সার্জন রয়েছে। সেই সুবাদে নোয়াখালীতে নিরাময় হসপিটালে ডা. মাসুম বিল্লাহ’র স্মরণাপন্ন হলে তিনি কয়েক ধাপে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর নিরাময় হসপিটালে ভালো যন্ত্রপাতি নাই বলে ঢাকা ট্রমা সেন্টার এন্ড স্পেশালাইজড অর্থোপেডিক হসপিটাল লি. এ তার সাথে গিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এক লাখ ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। দাবীকৃত অর্থ পরিশোধ করার পর তিনি উক্ত হসপিটালে রেজিঃ নং-৮৪৪৪, ভর্তির তারিখ-২৫/০৫/২০২২ইং তারিখে ৯০ হাজার টাকার রশিদ দিয়ে অস্ত্রোপচার শুরু করেন। অস্ত্রোপচার করার পর তিনি ভুল লক্ষ্য করে আবারও নিরাময় হসপিটালে এনে কয়েক দফা পায়ে অস্ত্রপ্রচার করেন। পরে পায়ের বিভিন্ন অংশে মাংসগুলো ফুলে উঠে এবং সারা জীবনের জন্য ভুল চিকিৎসার কারণে পা অকেজো হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে চলাচল করতে পা’ টি সোজা থেকে বাকা করা যায় না। ডা. মাসুম বিল্লাহ এর ভুল চিকিৎসার পরে ঢাকা পঙ্গু হসপিটালে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখানকার ডাক্তাররা চিকিৎসা করাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

এই বিষয়ে জানতে ডা. মাসুম বিল্লাহকে প্রথমে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমোতে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন জবাব দেননি। তবে নিরাময় হাসপাতালে ফোন করার পর তারা তদন্তের পরে খবরটি প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করেন। ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম অভিযুক্ত ডা. মাসুম বিল্লাহ’র সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You