দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হাজী সেলিমকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ১০ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে হাজী সেলিমকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। প্রসঙ্গত, দুদকের যে মামলায় হাজী সেলিমের কারাদণ্ড হয়েছে সেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। মামলায় ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে তাকে মোট তের বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলো আদালত। দণ্ড হয়েছিলো তার স্ত্রীরও।
পরে তারা আপিল করলে সে প্রেক্ষাপটে আদালত ২০১১ সালে ওই দণ্ড বাতিল করলে দুদক আবার উচ্চ আদালতে আপিল করে। এই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ আবারো হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী শুনানি শেষে গত বছরের নয়ই মার্চ হাইকোর্ট দশ বছরের সাজা বহাল রাখে ও অন্য ধারায় তিন বছরের দণ্ড থেকে অব্যাহতি দেয়। অন্যদিকে আপিল চলাকালে সেলিমের স্ত্রী মারা যাওয়ায় তার আপিল বাতিল করা হয়।
এদিকে চলতি বছরের ৯ মার্চ এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এ সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন হাজী সেলিম। আদালতের দণ্ড মাথায় নিয়ে হাজী সেলিম দেশ ছাড়ায় শুরু হয় বিতর্ক।
ডব্লিউজি/এমএ