বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল দেখতে মনে হয় ভদ্রলোক, আর অন্তরে বিষ। একটা মানুষ এত মিথ্যা কথা বলতে পারে, সেরা মিথ্যাবাদীর নাম মির্জা ফখরুল’।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের দেশ পাকিস্তান নাকি ভালো ছিল। আজ পাকিস্তানের রিজার্ভ ৩.৫ বিলিয়ন ডলার।। পাকিস্তান আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে। পাকিস্তানের চেয়ে সবদিক থেকে আমরা এগিয়ে আছি।
’
শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর ধোলাইখালে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির দুটি গুণ—দুর্নীতি আর মানুষ খুন। সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। ’
অর্থ পাচারকারী তারেক লন্ডনে আছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক দেশে ফিরবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,… দুর্নীতিতে বিএনপি পরপর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিবাজের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা। এরা চুরির কথা বলে, ভোট চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে।’
‘ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন। বেপরোয়া গাড়ির বেপরোয়া ড্রাইভারে চলতে চলতে গাড়ি খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন জখম হয়ে গেছে!’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা চুরি করলে পদ্মা সেতু হতো না, ঢাকায় মেট্রোরেল হতো না, এক্সপ্রেসওয়ে হতো না। শেখ হাসিনা যদি চুরি করতেন তাহলে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল হতো না।… একদিনে একশ রাস্তা হতো না। শেখ হাসিনা চুরি করেননি, চুরি থেকে বাংলাদেশকে, ক্ষমতার রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন। ’
গত ৪৮ বছরে দক্ষ প্রসাশক জন্ম নেয়নি মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা চুরি করলে তার নামে হাওয়া ভবন তৈরি হতো। কোটি কোটি মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতেন না। শেখ হাসিনা আছেন বলেই গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছে, ভূমিহীনেরা ভূমি পাচ্ছে…।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম…, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মান্নাফী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু। ৩৮ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিসিসি রোড পূর্ব ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফয়সাল ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলি খান প্রিন্স শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে এ সভায় যোগ দেন।
ডব্লিউজি/এআর
